Skip to main content

নতুনরা কিভাবে অল্প টাকা দিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন : রিস্ক নেই, সম্পূর্ণ গাইড

নতুনরা কিভাবে অল্প টাকা দিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন তার সম্পূর্ণ গাইডেন্স এখানে আপনি পেয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই শেয়ার মার্কেটে ( Share Market) সম্পর্কে আগ্রহী। 

কিন্তু ভাবছেন যে আমার কাছে তো বেশি টাকা নেই তাহলে আমি কিভাবে বিনিয়োগ করব! চিন্তা করবেন না, আজকে এই নিবন্ধে সম্পূর্ণ রিস্ক ফ্রী এবং নতুনরা অল্প টাকা দিয়ে শেয়ার বাজারে (Share Bazar) বিনিয়োগের কৌশল জানতে পারবেন। মনে রাখবেন অল্প টাকা বিনিয়োগ ( Invest)  করেও আপনি আপনার সেই টাকাকে শেয়ার মার্কেটের মাধ্যমে আরো বেশি করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং লং টার্ম বিনিয়োগ ( Long Term Investment)এর কথা ভাবতে হবে। 

নতুনরা কিভাবে অল্প টাকা দিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন

যদি আপনার কাছে খুবই কম টাকা থাকে, অথবা আপনি যদি ভাবেন আমি মাসে মাসে ১০০-২০০ টাকা অথবা ২-৩ মাস পর পর ২০০-৩০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবো এবং সেটা কে লম্বা সময় এর জন্যে হোল্ড করতে পারবো, তাহলে এই বিনিয়োগ কৌশল আপনাকে সাহায্য করবে।

তবে একটা জিনিস সবাই মাথায় রাখবেন যেহেতু শেয়ার মার্কেট একটি ব্যবসা, তাই ব্যবসাতে আপনি যত টাকা ইনভেস্ট করবেন ঠিক তেমনি রিটার্ন পাবেন।  ধরুন আপনার কাছে ১০০০ টাকা আছে, আর আপনার বন্ধুর কাছে ১ লাখ টাকা আছে। এবার দুজনেই শেয়ার মার্কেট থেকে ১২% রিটার্ন পাচ্ছেন। কিন্তু আপনার প্রফিট হচ্ছে ১২০ টাকা, যেহেতু আপনার মূলধন কম, এবং আপনার বন্ধুর প্রফিট হচ্ছে ১২,০০০ টাকা।

নতুনরা কিভাবে অল্প টাকা দিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন

Telegram Channel  Join Now

তাই বন্ধুরা, যাদের কাছে টাকা কম আছে তাদের মন খারাপের কোন দরকার নেই কারণ শেয়ার মার্কেটে ক্যাপিটালটা মূল কথা নয় মূল কথা হলো আপনি কত পার্সেন্টেজ রিটার্ন আনতে পারছেন। বিনিয়োগ হল একটা প্র্যাকটিস, আপনি যদি আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতার সাথে ১৫ থেকে ২০% রিটার্ন প্রতিবছর আনতে পারেন তাহলে কোন এক সময় আপনার কাছে তো ক্যাপিটাল আসবেই তখনও কিন্তু সেই টাকার উপরেও আপনি এরকম পার্সেন্টেজ রিটার্ন আনতে পারবেন। 

তো এবার মূল বিষয়ে আসি যে,  নতুনরা কিভাবে অল্প টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করবেন - 

নতুনরা কিভাবে অল্প টাকা দিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন?

নতুনদের জন্য ETF ( Exchange Trade Fund) হল সবথেকে বিনিয়োগের সেরা কৌশল। এগুলি মিউচুয়াল ফান্ডের ( Mutual Fund) মত নয় , এটি একটি স্টকের ( Share)  মতই। যেটি স্টক এক্সচেঞ্জ ( NSE/BSE) এর মাধ্যমেই কেনাবেচা হয়ে থাকে। 

খুব সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে ETF গুলি বিভিন্ন ইনডেক্সের ( Nifty 50 ) মতোই হয়ে থাকে এবং ইনডেক্স যেভাবে  Up & Down  করে এটিএফ ( ETF) গুলি সেইভাবে Up & Down হয়ে থাকে। একটি ইনডেক্স ফান্ড যেমন রিটার্ন দিয়ে থাকি প্রতি বছর আপনি ETF এর মাধ্যমে ও ১২-১৪ % রিটার্ন পেতে পারেন। 

ETF এ  রিস্ক কম থাকে কেনো ? 

বন্ধুরা, একটি কোম্পানির শেয়ার ক্রমাগত ডাউনে চলে যেতেই পারে। কিন্তু কখনও Nifty 50  ইনডেক্স ডাউনে যাবে না ( Crash হলে ডাউন এ যায়, কিন্তু আবার সেটা উপরে উঠে আসে) কারণ Nifty 50 ইনডেক্সে ভারতের টপ ৫০ টা কোম্পানি লিস্টেড থাকে। আপনি যদি কোন একটি পার্টিকুলার কোম্পানির স্টকে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেই স্টক হয়তো ডাউনে যাবে কিন্তু আপনি যখন Nifty 50 index এর বিনিয়োগ করবেন তখন আপনার টাকা ৫০ টা কোম্পানির মধ্যেই বিনিয়োগ হচ্ছে। সুতরাং ইনডেক্স Long Time এর জন্যে কখনো ডাউনে থাকতে পারেনা। 

২০০২ সালে Nifty 50 ছিল ৯৫৫ টাকায় আর এখন ২০২৩ এ Nifty 50 এর ভ্যালু ১৯,৬৩৮ টাকা। তাহলে বুঝতেই পারছেন লং পিরিয়ডে ইনডেক্সকে উপরে যেতেই হবে। আর Nifty ETF একইভাবে এই Index কে follow করে। 

সহজ কথায় আপনাকে বুঝিয়ে দিই, আপনার কি ভারতের ইকোনমির উপরে ভরসা আছে ? আপনি কি মনে করেন এই ২০২৩ এ ভারতের ইকোনমি যেখানে আছে, এখান থেকে পনেরো বছর পর ভারতের ইকোনোমি আরো বাড়বে? যদি এই দুটো প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে হ্যাঁ হয় তাহলে আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়গ করতে পারেন । কারণ ভারতের ইকোনোমিকে এগিয়ে যেতে করতে হলে এই সমস্ত টপ যে কোম্পানি আছে তাদেরকে গ্রো করতে হবে। আর কোম্পানি যখন উন্নতি ( Grow)  করবে তখন সেই কোম্পানিতে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদেরও ক্যাপিটাল গ্রো ( Grow) করবে।

 আরও পড়ুন:

ক্লিক করুন - শেয়ার মার্কেট কি? কিভাবে শুরু করবো ?  

ক্লিক করুন - শেয়ার কেনার কত দিন পর বিক্রি করা যায় :  কখন বিক্রি করা উচিত ? 

ক্লিক করুন - শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায় ? 

ক্লিক করুন - ভালো শেয়ার চেনার উপায় : ১৪ টি কার্যকরী টিপস 

ক্লিক করুন - শেয়ার বাজারে ক্ষতি এড়ানোর উপায় : ১০ বিষয় আপনার জানা দরকার 


কি ধরনের ETF এ বিনিয়োগ করা ভালো ?

১. Nifty 50 ETF: অল্প টাকা দিয়ে  Nifty 50 ETF এ বিনিয়োগ করা যায়। এই ETF টি ভারতের Nifty 50 Index কে অনুসরণ করে। উদাহরণ - Nippon India ETF Nifty BEES . বর্তমানে Nifty BEES  একটি শেয়ারের মূল্য ২১৭ টাকা চলছে। 

২. IT ETF: এই ETF টি ভারতের IT Indx কে অনুসরণ করে। উদাহরণ - Nippon India ETF IT BEES. বর্তমানে IT BEES একটা শেয়ারের মূল্য - ৩৩.৪৯ টাকা চলছে। 

৩. Bank ETF: এই ETF টি Bank Nifty কে অনুসরণ করে চলে। অর্থাৎ Bank Nifty যেমন মুভমেন্ট করবে, এটিও তেমন ভাবেই up down করবে। উদাহরণ - Nippon India ETF Bank Bees. বর্তমানে Bank BEES এর একটি শেয়ার এর মূল্য ৪৫৪.৫০ টাকা। 

এছাড়াও আরো অনেক বিভিন্ন ইনডেক্সের ETF আছে। কিন্তু যারা একদম নতুন  অল্প টাকা এবং রিস্ক নিতে পছন্দ করেন না, তাদের  জন্যে NIFTY  ETF  এবং IT ETF ভালো একটি বিনিয়োগ এর উপায় হতে পারে। 


ETF এ বিনিয়োগ করার কৌশল

যারা লং টার্মের জন্য হোল্ড করে রাখতে চান এবং মাসে মাসে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করতে চান, তারা যে কোন প্রাইজ পয়েন্টেই এন্ট্রি নিতে পারেন অথবা বিনিয়োগ ( Invest) করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি একটি কৌশল অবলম্বন করে বিনিয়োগ করেন,  তাহলে আরো বেশি প্রফিট তৈরি করতে পারেন। 

ধরুন আপনি ঠিক করেছেন প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে বিনিয়োগ করবেন। কিন্তু দেখা গেল কোন মাসে মার্কেট অনেকটা আপ ট্রেন্ড এ চলছে। সেখানেও যদি আপনি বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার প্রফিট মার্জিন এ একটু ইফেক্ট করবে। কিন্তু Nifty যখন, যখন ডাউনে আসবে তখন আপনি যদি বিনিয়োগ করে থাকেন , তখন আপনার Buying Average Price কমে আসবে এবং তারপর Nifty যখন উপরে পৌঁছাবে,  তাহলে আপনি কিন্তু অনেক বেশি প্রফিটে থাকবেন। 

বোনাস টিপস: Nifty 50 যখন হাই লেভেলে থাকবে সে মাসে বিনিয়োগ না করে আপনার টাকা জমিয়ে রাখা ভালো। যখনই নিফটিতে ৩ থেকে ১০% কারেকশন অর্থাৎ ডাউন হবে তখনই আপনি বেশি করে ইনভেস্ট করা যেতে পারে। তাহলেই প্রফিট মার্জিন বেশি হবে। 

মনে রাখবেন ধৈর্য এবং সময় না দিলে আপনি স্টক মার্কেট থেকে কখনোই বিনিয়োগ করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।

Disclaimer:  Share Market Bangla সেবি ( SEBI) রেজিস্টার্ড নয়। এই পোস্ট সম্পূর্ণ ভাবে এডুকেশনাল এর জন্যে। Share Market Bangla কখনো কোনো স্টক Buy/ Sell সুপারিশ দেয় না। কোন শেয়ার কেনা বা বিক্রির আগে অবশ্যই নিজে এনালাইসিস করুন বা আপনার financial adviser এর পরামর্শ নিন।

শেয়ার বাজার সংক্রান্ত আপডেট বাংলায় পেতে টেলিগ্রামে যুক্ত হন - ক্লিক করুন



Comments

Popular posts from this blog

শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং কি ,কত প্রকার, ট্রেডিং এর সুবিধা ও অসুবিধা | What Is Trading In Bengali

শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং কি , কতপ্রকার ট্রেডিং ( Trading ) হয় এবং ট্রেডিং সুবিধা ও অসুবিধা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে, নিচের এই নিবন্ধ টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।  Table Of Contents বর্তমান সময়ে, তরুণ প্রজন্ম এর কাছে ট্রেডিং ( Trading ) শব্দ টি খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। প্রত্যেকেই শেয়ার মার্কেট ( Share Market ) থেকে ট্রেডিং করে ইনকাম করতে চাইছে। চারিদিক এ ট্রেডিং এর কোর্স ( Trading Online Course) বিক্রি হচ্ছে। তাই , আজ আপনাদের  কাছে ট্রেডিং কি , এবং কতপ্রকার ট্রেডিং শেয়ার মার্কেট এ করা যায়, সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরবো।  শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং কি ? [ What Is Trading in Bengali ] শেয়ার মার্কেটে অল্প সময়ের জন্য কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনা - বেচা ( Buy - Sell) কে ট্রেডিং বলা হয়। আপনি আজই কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনে আজকেই বিক্রি অথবা, ২ দিন পর বা ১ মাস পর বিক্রি করতে পারেন, এটিকেই সহজ ভাষায় ট্রেডিং হবে। ট্রেডিং মূলত টেকনিক্যাল এনালাইসিস ( Technical Analysis) নির্ভর। শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিংয়ের জন্য কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস এর উপরে বেশি গুরু

কিভাবে শেয়ার মার্কেটে/বাজারে ব্যবসা শুরু করব: A to Z গাইড

কিভাবে শেয়ার মার্কেটে /বাজারে ব্যবসা শুরু করব - সম্পূর্ণ গাইড আপনি এখানে পেয়ে যাবেন। Table Of Contents বর্তমানে সময়ে শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেট ( Stock Market ) ইনভেস্টিং, ট্রেডিং ( Trading ),  মিউচুয়াল ফান্ড ( Mutual Fund ) এই সমস্ত শব্দগুলি আস্তে আস্তে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। শেয়ার মার্কেটেও যে টাকা ইনভেস্ট করে সেটিকে আরো বড় ক্যাপিটাল তৈরি করা যায় মানুষ ধীরে ধীরে সেটি বুঝতে পারছে। এই নিবন্ধে আমরা দেখব কিভাবে শেয়ার মার্কেটে বা বাজারে ব্যবসা শুরু করতে হয় এবং এর প্রাথমিক পদক্ষেপ গুলি কি হতে পারে।  Telegram Channel  Join Now কিভাবে শেয়ার মার্কেট /বাজারে বিনিয়োগ শুরু করব ( How To Invest In Share Market )  বিগত কয়েক বছরে অনেক মানুষ শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক প্রকাশ করছে এবং   প্রচুর মানুষ এই শেয়ার মার্কেটে টাকা ইনভেস্ট করেছেন। কিন্তু সব সময় মনে রাখবেন শেয়ার মার্কেট হলো একটি ঝুঁকিপূর্ণ লাভজনক ব্যবসা। তাই নতুনদের জন্য এখানে কিছু গাইড দেওয়া হল যে কিভাবে শেয়ার বাজারে আপনি বিনিয়োগ শুরু করবেন -  ১. শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে শ

ভালো শেয়ার চেনার উপায় : ১৪ টি কার্যকরী টিপস

ভালো শেয়ার চেনার উপায় গুলি আপনি বুঝতে পারলেই খুব সহজেই স্টক মার্কেট থেকে বিনিয়োগ [ Stock Market Investing] করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। এই পোস্টে ভালো শেয়ার নির্বাচনের ১০ উপায় নিয়ে  আলোচনা করবো অ আরও কিছু টিপস পাবেন। বন্ধুরা, স্টক মার্কেট [ Stock Market ]  হলো একটা ব্যবসা। আপনি স্টক মার্কেটে যে টাকা বিনিয়োগ করেন সেই টাকাগুলো ওই সমস্ত কোম্পানির ব্যবসাতে ইনভেস্ট হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন সেই সমস্ত কোম্পানিগুলি যদি তাদের ইনকাম কে বাড়ায় এবং তারা ভবিষ্যতে আরও নিজেদের রেভিনিউকে গ্রো করে তাহলে আপনার বিনিয়োগ করা টাকাও বাড়বে। আর সে কারণেই ভালো শেয়ার চেনার কৌশল গুলি [ Good Stock Analysis Tips ]  আপনার জানা খুবই দরকার। ভালো শেয়ার চেনার উপায় : ১৪ টি কার্যকরী টিপস ভারতের শেয়ারবাজারে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি কোম্পানি আছে।তার মধ্যে থেকে সঠিক কোম্পানি বাছাই করতে গেলে কিছু বিষয় জানা দরকার। Long Term & Short Term Investing এ ভালো শেয়ার চেনার জন্য বিশ্লেষণ করার আগে আপনাকে শেয়ার মার্কেট কিভাবে কাজ করে সেটি জানতে হবে। Telegram Channel  Join Now এই নিবন্ধে আমি আলোচনা করব  এক